হাকালুকি হাওর - MASS TRAVEL

The Biggest Travel Group

Breaking

Home Top Ad

Post Top Ad

Monday, April 16, 2018

হাকালুকি হাওর



জল তো শান্তই ছিল। মৃদু হাওয়ায় ছোট ছোট ঢেউ তিরতির করে দিগন্তব্যাপী খেলা করছিল। শরতের সাদা তুলাপেঁজা মেঘ সেই জলে ডুবছিল, ভাসছিল। ছোট ছোট ডিঙি নৌকা জলের বুকে সাঁতরে যাচ্ছিল আর মেঘ ভেঙেচুরে তৈরি হচ্ছিল জলরঙের ছবি।
তবু শান্ত জল আর শান্ত থাকে কতক্ষণ। হাওয়া কিছু বেগ পেতেই চোখের পলকে চঞ্চল হয়ে ওঠে জলরাশি। জলের বুকে তখন অসংখ্য ছোট-বড় ঢেউ। একটি ঢেউ আছড়ে পড়ে আরেক ঢেউয়ের মাথায়। ঢেউয়ের চূড়ায় তখন রুপালি জলের ফণা ফুলের মতো ফুটতে ফুটতে কেমন করে আবার জলের সঙ্গে মিশে যায়। তখন অনেক দূর পর্যন্ত এমন অসংখ্য জলের ফুল।
ঢেউগুলো আছড়ে আছড়ে এসে পড়ছিল পাকা সড়কের পেটেও। পা ভিজিয়ে দিচ্ছিল নরম জল। কেমন মন আলুথালু করা প্রহর। ঠান্ডা হাওয়া, যত দূর চোখ যায় রাশি রাশি জল। জলের ঢেউ।
এটা কোনো সমুদ্রসৈকতের ছবি নয়, এটা হাকালুকি হাওরের একটি এলাকা। হাকালুকির বুকভরা এখন জল আর জল। মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের বড়তল এলাকায় এমনভাবেই এই জলের প্রাচুর্যে সমুদ্রের ছোঁয়া মিলছে।
শুধু সড়কে দাঁড়িয়ে থেকেও যত দূর চোখ যায়, জলের বৈভব অভিভূত করে। এখানে বেশ কিছু ডিঙি নৌকা আছে। যে নৌকার মাঝিরা সাধারণত পানিবন্দী গ্রামগুলোর মানুষকে নিয়েই দিনভর জলের বুকে ভাসেন। এ রকম যেকোনো নৌকায় জলের বুকে অনেকক্ষণ ভাসা যায়। জলের ঢেউ-তরঙ্গের রুপালিপাঠ যেমন আনন্দ দিতে পারে, তেমনি জলের বুকে ভেসে বেড়ানোর আনন্দটাও কুড়ানো যায়।
কুলাউড়া সদরের দক্ষিণ বাজার এলাকা থেকে একটি সড়ক ভূকশিমইলের দিকে চলে গেছে। এই সড়ক দিয়ে এগিয়ে গেলেই একসময় বড়তল পাওয়া যাবে।
আকমল হোসেন
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
সোর্স – প্রথম আলো

No comments:

Post a Comment

Sponsorship